মীরাট বিভ্রাট

নীতা মণ্ডল

রুটিন কাজ থেকে আজ ছুটি। পরীক্ষা নিতে যেতে হবে মিরাট। বহিরাগত পরীক্ষক অর্থাৎ অতিথি হিসেবে। একাজে আর কিছু না জুটুক, নতুন জামাইয়ের মত খাতিরটুকু জোটে। নতুন জামাই সময়ে পৌঁছতে না পারলে কেউ কখনও রাগ করেছে বলে শুনি নি। তাই আমিও গড়িমসি করার সুবর্ণ সুযোগটিকে হাতছাড়া করতে নারাজ। যেহেতু ‘জামাই আদর’ বস্তুটি এ জীবনে জোটার কোনও সম্ভবনা নেই, তাই ‘দুধের স্বাদ ঘোলে’ মেটাতে আমি বদ্ধপরিকর। ঘোল খাওয়ার আনন্দে ঘর থেকে বের হতেই ঘণ্টা খানেক দেরি হয়ে গেল।

দেরি হওয়ার যথেষ্ট কারন আছে। কাজের তো শেষ নেই। অজানা জায়গায় যাব, তার একটা প্রস্তুতি লাগবে না! মোবাইল ফোনে ফুল চার্জ দিতে হয়েছে। এ বাজারে একটা ফোননম্বরে ভরসা নেই, তাই ওদের কাছ থেকে একাধিক লোকের নম্বর নিতে হয়েছে। ফোনে আড্ডা মারতে গিয়ে মোক্ষম সময়ে ব্যালেন্স ফুরিয়ে যায়। কতবার যে বিপদে পড়েও ব্যালেন্স অভাবে লোক ডাকতে পারি নি হিসেব নেই। তাই আটঘাট বেঁধে নামতে হয়েছে। অনেকটা রাস্তা, সময়টাও কাটাতে হবে! যাবার সময় নাহয় রাস্তা দেখতে দেখতে যাব। ফেরার পথে? তাই পছন্দসই একটা গল্পের বই ভরে নিয়েছি ব্যাগে।

বাস হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চলেছে। আমিও জানলার ধারে জায়গা পেয়ে মনে মনে ডানা মেলে দিয়েছি। হঠাৎ সম্বিৎ ফিরেই দেখি, মোদিনগর। ‘আরে এরপরই তো মিরাট!’ ওরা বলেছিল মোদিনগরে পৌঁছেই ফোন করে দিতে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি পাঠাবে, আমাকে বাসস্টপে অপেক্ষা করতে হবে না। তড়িঘড়ি ফোন বের করলাম। ওপ্রান্ত থেকে হিন্দি এবং ইংরাজিতে একটা যান্ত্রিক গলা জানাল, এই সুবিধাটি আমার ফোনে অপ্রতুল। ‘যত্তসব ঢং!’ ভেবে বিরক্ত মুখে অন্য নম্বর টিপলাম। আবারও যন্ত্রখানি দু দুটো ভাষায় একই তথ্য পরিবেশন করল। ‘উঃ এদের পাকামির চোটে পারা যায় না!’ ভেবে ফোনের লাল বোতামে এমন জোরে চাপ দিলাম যে একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। ভাবলাম, ভাল হয়েছে। বন্ধ করে চালু করলে অনেক সময় যন্ত্র ঠিকঠাক চলে। বাস মোদিনগর ছাড়ল। ফোন চালু করে ক্রমাগত চেষ্টা করতে লাগলাম দুটো নম্বরে। প্রতিবার একই যন্ত্রবানী ভেসে এল। নেটওয়ার্কের মুণ্ডপাত করতে করতে যখন আমি গলদঘর্ম, তখনই চোখে পড়ল, স্ক্রিনের মাথায় ইংরাজিতে বড়হাতের ‘আর’ অক্ষরটি জ্বলজ্বল করছে। অর্থাৎ, ফোন রোমিং। এই সম্ভবনা তো মাথায় আসে নি। আমার ফোনে যা ব্যালেন্স, তা একটা বিশেষ স্কিমের। রোমিং অবস্থায় ফোন করা যাবে না। মানুষ কখন নিজেকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়, তা উপলব্ধি করছি। তবে সেই উপলব্ধিতে বিশেষ লাভ নেই, বাস মিরাট ঢুকে পড়েছে। এদিক ওদিক তাকাতেই দেখি সামনের সিটে কন্ডাক্টর তার মোবাইলে একটি খেলায় মজে আছে। মুখখানা কাঁচুমাচু করে আমার আশু বিপদের বিবরণ দিয়ে ওর ফোনখানা হাতিয়ে কাজ সাড়লাম।

বাসস্টপে পৌঁছেই খোঁজ খোঁজ। সবার আগে ফোন রিচার্জ। ড্রাইভারের নম্বর নেব ভেবে আবার যোগাযোগ করলাম।

ওদিকে গম্ভীর গলা, ‘আপনাকে কখন থেকে চেষ্টা করছি, পাওয়াই যাচ্ছে না। আপনি যে নম্বর থেকে ফোন করলেন সেই নম্বরে অন্য কেউ ফোন ধরছে। সে কিছুই বলতে পারে না।’

আমি আসল ঘটনা চেপে গিয়ে বললাম, ‘নেটওয়ার্কগুলো সব ভূতুড়ে, আর যত ঝামেলা আমাদের!’

‘যা বলেছেন। আপনি ওখানেই অপেক্ষা করুন। গাড়ি যাচ্ছে, আধ ঘন্টা লাগবে।’

যখন অপেক্ষা করতে হয়, তখন আধ মিনিটই যে কত লম্বা! এখন আবার আধ ঘন্টার ধাক্কা!

একটা করে গাড়ি আসে। থামে ঠিক আমার সামনাসামনি। আমিও গাড়ির ভেতর সন্ধানী দৃষ্টি হানি। ঠোঁটের কোণায় টেনে আনি রহস্যময় হাসি। চোখের কোণায় ফুটিয়ে তুলি মৃদু ইশারা, ‘এই তো আমি এইখানে’। দেখি, ড্রাইভার ফোন বের করছে। আকুল হয়ে তাকিয়ে থাকি আমার ফোনের স্ক্রিনে। এই বুঝি ফুটে উঠল নম্বর, এই বুঝি বাজল শ্যামের বাঁশি! কিন্তু সে গুড়ে বালি। ড্রাইভার তার কাঙ্খিত মানুষটিকে পেয়ে পাশে বসিয়ে আমার নাকের ডগা দিয়ে হুশ করে বেরিয়ে যায়।

হঠাৎ আমার চেতনা হয়, এরকম ভরদুপুরে বাসস্যান্ডের মাথায় ভদ্র পোশাক পরে চোখে ইশারা, মুখে রহস্যময় হাসি! ছিঃ ছিঃ, লোকে কি ভাবছে! আপনমনে ধিক্কার দিতে দিতে লজ্জায় সেই স্থানটাকেই ত্যাগ করি। অমনি বেজে উঠে মোহনবাঁশি, ‘আপনি কোথায়? যেখানে বলেছিলেন, খুঁজে পাচ্ছি না।’ ।

ড্রাইভার চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে। একজন মাস্টারমশাইও সঙ্গে এসেছেন। আমি বহিরাগত হলে উনি অন্তর্গত পরীক্ষক। খানিকটা আমি বরকর্তা আর উনি কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা। তাই উনিই আলাপ শুরু করলেন। ঐতিহাসিক আলাপ। সিপাহী বিদ্রোহ দিয়ে শুরু হল। পুরাণ বা ধর্মও বাদ গেল না। বর্ণিত হল এখানকার কালীমন্দিরের মাহাত্ন্য। শুনে বললাম, ‘একটা উইকএন্ডে এসে ঘুরে যেতে হবে তো!’

গন্তব্যে পৌঁছতে দুপুর গড়িয়ে গেল। কালবিলম্ব না করে কাজের কথা পাড়লাম। পরীক্ষার্থী অবশ্য বেশি নয়, মোটে চারজন। সোজা কনফারেন্স রুমে হাজির আমরা। পরীক্ষা চলছে, আতিথেয়তাও চলছে। জল, ফলের রস, চা এবং তার সঙ্গে ‘টা’ একের পর এক ঢুকছে। নৈবিদ্যে উপচে পড়ছে সামনের জায়গাটুকু। আমি কোনটায় একটা ছোট্ট চুমুক দিয়ে নামিয়ে রাখছি, কোনটা অবহেলায় ঠেলে দিচ্ছি।

তিন নম্বর পরীক্ষার্থী উঠেছে ডায়াসে। সাদা বোর্ডে স্লাইডের পর স্লাইড ভেসে উঠছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীর মুখে বাক্যি নাই। সে থর থর করে কাঁপছে। অন্তর্গত শিক্ষকের দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, ‘নার্ভাস ব্রেকডাউন ম্যাডাম। আসলে ভাল ছাত্রী তো, তাই পরীক্ষার নামেই ভয় পায়।’

নৈবিদ্যের মাঝখান থেকে এক গ্লাস ফলের রস এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘খেয়ে আগে ঠান্ডা হও। তারপর বল। বলতে তো হবেই। নাহলে আমার নার্ভাস ব্রেকডাউন হলে নম্বর দিতে পারব না। তখন বুঝবে মজা।’

কথাটায় ওষুধের মত কাজ হল।

ঘণ্টা চারেক পর আবার বসলাম ওই গাড়িতেই। সেই একই ড্রাইভার। অন্তর্গত শিক্ষক আর সঙ্গ দিতে আসেন নি। আসবেনই বা কেন, কন্যাদায় থেকে উদ্ধার পেয়ে গিয়েছেন যে! কলেজের গেট পেরিয়ে ড্রাইভারবাবু শুধলেন, ‘এতক্ষণ লাগল যে! কজন ছিল?’

এই লোকটা আসার সময় একটাও কথা বলে নি। ভেবেছিলাম ফেরার পথে আমাকে বোবার মত যেতে হবে। তা হল না দেখে মনে মনে খুশি হলাম। বললাম ‘চারজন।’

‘এতক্ষণ লাগিয়ে দিলেন চারজনের পেছনে?’

আমি কৈফিয়ত দেবার মত বললাম, ‘কি করি বলুন? চারঘণ্টাতেও আসলে হয় না। ওরা একবছর ধরে প্রোজেক্ট করেছে। সেই থিসিস পাঁচ মিনিটে বিচার করা যায়?’

বলল, ‘তাড়াতাড়ি করতে পারলে মঙ্গল পান্ডে খ্যাত কালীবাড়িটা দেখিয়ে দিতাম। তারপর ধরুন হস্তিনাপুর…’

‘হস্তিনাপুর? মানে মহাভারত, কুরুরাজসভা? পিতামহ ভীষ্ম …কোথায় … কতদূর?’ আমি উত্তেজনায় কয়েক ইঞ্চি লাফিয়ে উঠেই ধপাস করে বসে পড়ি।

ড্রাইভার ধীরেসুস্থে পেশাদার ট্যুর গাইডের ঢঙে উত্তর দেয়, ‘মাত্র কুড়ি কিলোমিটার। যেতে আধঘন্টা, আসতে আধঘণ্টা। তাছাড়া আরও একটা জিনিস দেখাতাম। ওই যে হিন্দি সিনেমার নায়িকা, পুরনো অবশ্য… ইস, কি যেন নাম… ওই যে ম্যাডাম, যে হল গিয়ে দাউদ ইব্রাহিমের গার্লফ্রেন্ড। নামটা পেটে আসছে মুখে আসছে না। তার বাংলো আছে এখানে।’

হিন্দি সিনেমা সম্পর্কে আমার যা জ্ঞান তাতে মুখ না খোলাই মঙ্গল। পুরনোদিনের হলে তো, সোনায় সোহাগা। কিন্তু এই লোকটা তো সেসব জানে না। তাই চালাক চালাক গলায় বললাম, ‘আমারও নামটা গলার কাছে এসে আটকে গিয়েছে, মুখে আসছে না। ছেড়ে দাও। একটু পর মনে পড়ে যাবে। তোমার কবে ছুটি থাকে বল। আমরা সেদিন আসব। ঘুরিয়ে দেবে তো?’

‘ঘোরাব না মানে? ওটাই তো আমার ব্যবসা। পারটাইমে এই ড্রাইভারীর কাজ করি। কিছু এক্সট্রা কামাই।’

নিজের সম্পর্কে তথ্যটুকু দিয়েই আমাকে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। একটু আগে আমি যে কাজ করে এসেছি যেন তার শোধ তুলেই ছাড়বেন। আমার কোথায় বাড়ি, স্বামী কি করে, ছেলেমেয়ে কজন, তারা কত বড়, কটাকা ঘর ভাড়া দিই, কটাকা মাইনে পাই, আমার স্বামী কত পান!

শেষ দুটো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তোতলাতে তোতলাতে আমি প্রায় ধরাশায়ী। নার্ভাস ব্রেকডাউন হবে হবে এমন অবস্থায় তিনি প্রশ্ন থেকে মুক্তি দিলেন। শুরু করলেন উপদেশ বর্ষণ। ঠিক যেমন আমরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে করে থাকি।

‘ওইসব নয়ডা ফয়ডা ছেড়ে চলে আসুন ম্যাডাম। এখানে খরচ কম। ছেলের ভর্তি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ঘরভাড়াও দিতে হবে না। আমাকে তিরিশ লাখ দেবেন, ভাল ফ্ল্যাট যোগাড় করে দেব। আমার রেট টু পার্সেন্ট। তবে আপনার কাছে চাইব না, যা দেবেন খুশি হয়ে…। তারপর জমান না যত খুশি। আপনারা বেড়াতে ভালবাসেন, সেও সস্তায় হয়ে যাবে। দেড়শ কিলোমিটার গেলেই তো হরিদ্বার।’

উপদেশে ঝুলি ভরতে ভরতে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম। ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে ড্রাইভারবাবু বললেন, ‘রবিবার দেখে চলে আসুন, ঘুরিয়ে দেব। আর আপনার একটা কার্ড দিন।’

বললাম, ‘আমার তো কার্ড নেই।’

‘তাহলে ফোন নম্বরটা দিন।’

আমাকে ব্যাগ ঘাঁটতে দেখে বলল, ‘কাগজ পেন লাগবে না, আপনি বলুন আমি সেভ করে নিচ্ছি।’

বাসে বসতেই ফোন বেজে উঠল। অচেনা নম্বর। ‘চিনতে পারছেন? আমি ঋষিপাল, ড্রাইভার। আরাম করে বসেছেন তো!’

বললাম, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ। চিন্তা কর না।’

‘আসবেন কিন্তু আমি ঘুরিয়ে দেব। শুধু তেলের দাম দিলেই হবে।’

বসার জায়গা পেয়েছি কন্ডাক্টরের পাশেই। ঋষিপালের বাচালতার কথা ভেবে নিজেকে সাবধান করেছি, আর কোনও বকবকানি নয়। তাই কালবিলম্ব না করে গল্পের বইয়ে মন দিয়েছি। পেছন থেকে টিকিট কাটতে কাটতে একটা সময় এসে পাশে বসল ছেলেটি। টাকা বের করে এগিয়ে দিতেই জিজ্ঞেস করল, ‘কোন কলেজে পড়? এত দূর থেকে রোজ আসা যাওয়া কর নাকি?’

‘আমাকে এখনও ছাত্রী মনে হয়! আহা কি আনন্দ!’

একটু আগেই ঋষিপালের কথা ভেবে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আর কোনদিন অচেনা লোককে প্রশ্রয় দেব না। নিমেষে সে প্রতিজ্ঞা ধুলোয় মিশে গেল। নিজেকে ধিক্কার দিলাম, ‘ছিঃ ছিঃ, সবাই কি খারাপ হয়? যাবার সময় ওই বাসের কন্ডাকটর নিজের ফোনটা দিয়ে আমার কত বড় উপকার করেছিল!’

‘আমি পড়ি না ভাই, পড়াই। এদিকে একটা কাজে এসেছিলাম।’ বলেই আবার বইয়ে মন দিলাম।

হঠাৎই ছেলেটা জিজ্ঞেস করল, ‘এটা কি ভাষা? আপনার বাড়ি কোথায়?’

বললাম, ‘ভাষাটা বাংলা। আর, আমার বাড়ি কলকাতা।’

‘ভালোবাসি।’

‘মানে?’ আমি চেঁচিয়ে উঠলাম।

‘আমি এই একটা বাংলাই জানি। আমার কানপুরের ভাবী শিখিয়ে দিয়েছে।’ গর্বিত ভঙ্গীতে জানায় ছেলেটি।

‘কিন্তু ওটা যাকে তাকে বলতে নেই।’

‘কেন? এর মানে তো ক্যায়সে হো? সব সহি সালামাৎ?’

‘তুমি যেটা বলতে চাইছ তাকে বাংলায় বলে, ভাল আছ?’

‘তাহলে আমি যেটা বললাম তার মানে?’

আমি এক ঝটকায় উঠে দাঁড়িয়ে হাত জোর করে পরিষ্কার বাংলায় বললাম, ‘ক্ষমা কর ভাই। আমি কোনও মানে টানে বোঝাতে পারব না। আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি নির্ঘাত ঋষিপালের ভাই শিশুপাল।’

ছেলেটা হাঁ করে কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়েই হিন্দিতে চেঁচিয়ে উঠল, ‘থাম থাম। ম্যাডামের স্টপ এসে গিয়েছে, নামিয়ে দাও।’

ঝুপ করে নেমেই ইচ্ছে হল একটু কাঁদি। মুক্তির আনন্দে কান্না। কিন্তু তখনও একটা আবিষ্কার বাকি ছিল। চারিদিকে তাকিয়ে বুঝলাম জায়গাটা অচেনা, ছেলেটা আমার বাংলার এই মানে করেছে!

বোকার মত দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় মধুসূদন হয়ে দেখা দিল একজন অটোওয়ালা, ‘বসুন্ধরা, বৈশালী, নয়ডা, কোথায় যাবেন? বসে পড়ুন।’

বসেই পড়লাম।

জানতে ইচ্ছে করছে তো, সেই মধুসূদনের সঙ্গে সময়টুকু কেমন কাটল?

থাক, সে গল্প নাহয় আর একদিন হবে।

 

Leave a Reply