সোমা দাস
ইস্কুল ও কলেজ জীবনে বিশেষভাবে কোনওদিনই রান্নাঘরে ঢুকিনি। পড়াশুনা, গান-বাজনা, খেলাধূলা, বন্ধুবান্ধব এসব নিয়েই কেটেছে দিন। কিন্তু ১৯৯২ সালে বিয়ের পর থেকে, কখন যে রান্না প্রেমিক হয়ে উঠলাম তা নিজেই বুঝতে পারিনা। এখন আমার রান্নার খাতাটা গানের খাতার থেকে ভারি হয়ে গেছে। তার থেকেই একটা প্রিয় রেসিপি আজ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
পরিমাণ- ৫-৬ টা মত
কচুরির খোলের জন্য লাগবেঃ
ময়দা- ২ কাপ
নুন- ১ চামচ
চিনি – ১ চামচ
ডিম – ১টা, ফেটানো
ময়ামের সাদা তেল – ৩-৪ টেবিল চামচ
সাদা তেল – ভাজার জন্য
কচুরির পুরের জন্য লাগবে
চিকেন কিমা/পেস্ট- বড় একবাটি
ধনে গুঁড়ো – ২ চা চামচ
কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো – ২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা – ২ টেবিল চামচ
নুন – পরিমাণমত
কাজু বাটা – ২ চামচ
শুকনো ময়দা – পরিমাণমত
গরমমশলা গুঁড়ো – ১ চামচ
প্রণালী- প্রথমে চিকেন কিমাটা, পেঁইয়াজ, রসুন ও আদাবাটা, টকদই, ধনেগুঁড়ো, নুন ও দুপ্রকার লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মেখে আধ ঘন্টা রাখতে হবে।
কড়াইতে ৩-৪ চামচ সাদা তেল গরম করে, তাতে এই কিমাটা দিয়ে দিতে হবে। ভাল করে নাড়াচাড়া করে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। ২ মিনিট ঢাকা চাপা রাখতে হবে। ঢাকনা খুলে, জল শুকিয়ে আসলে, কিমাটা একটু ঝরঝরে হলে, কাজুবাটা দিয়ে ও শুকনো ময়দা অল্প ছড়িয়ে পুরো ঝরঝরে করে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে হবে। তৈরী হয়ে গেল কচুরির পুর। একটু ঠান্ডা করতে হবে।
এবার ময়দাতে নুন, চিনি ও ৪ টেবিল চামচ সাদা তেলের ময়ান ভালভাবে মিশিয়ে, ফেটানো ডিমটা অল্প অল্প করে মেশাতে হবে। সঙ্গে অল্প অল্প জল দিতে দিতে ময়দাটা ভালভাবে মেখে নিতে হবে। মিনিট ১৫ চাপা দিয়ে রেখে, ভালভাবে ঠেসে মেখে নিতে হবে। ৫-৬টা মত লেচি হবে। এবার একটা লেচি নিয়ে, হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ছোট বাটির খোলের মত করে, ভিতরে শুকনো ময়দা লাগিয়ে, এক-দেড় চামচ কিমার পুর দিয়ে চেপে, ভরে সাবধানে কচুরির মুখটা বন্ধ করে, হাতের তালু দিয়ে চেপে, থালায় রেখে, লেচিগুলোকে হাতের চাপে আর একটু বড় করে, শুকনো ময়দা ছড়িয়ে, হালকা হাতে মোটা করে বেলে নিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিতে হবে।
তৈরী হয়ে গেল চিকেন কিমার কাস্তা কচুরি, এবার পছন্দমতো সস বা আচারের সাথে জমে যাবে।