সুশান্ত কুমার দাস
প্রায় সারাজীবন কেটেছে আমার
বাংলার বাইরে। শুধু পড়াশুনার
কয়েকটি বছর ছিলাম সেখানে।
কিন্তু বুঝি না কেন যে প্রতিদিন আমার
মনকে মুগ্ধ করে রাখে বাংলার কথা
আর গানে।
কতবার মনে হয়েছে “ছায়া সুনিবীড়
শান্তির নীড়” বাংলার কোন গ্রামে
বেশ কিছুদিন কাটাই।
আর খুঁজে বেড়াই সেই “ময়না পাড়ার
মাঠ” যদি সেখানে আজকের
কোন “কৃষ্ণকলির” সন্ধান পাই।
কতবারই তো বিদেশে সাগরের
সবুজতীরে দেখেছি তুলনাহীনারে
আর মনে হয়েছে হয়তো রবীন্দ্রনাথই
অশেষ বন্ধনে বাংলার সাথে বেঁধেছে
আমারে।
আজও বাংলা থেকে এতদূরে এই দক্ষিণে
ঘরের বারান্দায় বসে যখন কোন চিল দেখি
নীল আকাশে,
তখনি কেন আমার বাংলার কারো
“বেতের ফলের মত ম্লান চোখ”
মনে আসে?
আগে মধ্যপ্রদেশ ভ্রমণে বিদিশায়
গিয়ে মনে পড়ল “বনলতা সেন”
নামের জীবনানন্দের সেই বিখ্যাত কবিতা।
“আমি প্রেমের আশায় পায়ের ধ্বনির দিকে কান পেতে
থাকি” কবিকে মনে হয় যেন হায় কালো মেঘে ঢাকা
পূর্বাহ্ণের সবিতা।
এখানেও যখন অতিদূরে
পল্লীগ্রামে যাই
মুগ্ধ হয়ে বাংলার সেই চিত্রটি
দেখতে পাই –
“সবুজ মাঠেরা পথ দেয় পায়ে পায়ে
পথ নেই, তবু এখানে যে পথ হাঁটা”।
সবাইকে এই কথাটি বলে যেতে চাই
বাংলা আমার আশা – বাংলা আমার ভালোবাসা,
বাংলায় একটি সুন্দর কবিতা লিখে
যাবো জীবনের কাছে
আমার আছে শুধু এইটুকু প্রত্যাশা।