প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য
ভূমিকা
চুকলিটা নারদই করেছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস গজাননের। কিন্তু গণ্ডগোল যা হবার তাতো হয়েই গিয়েছে। কৈলাসে বোর্ড রুমে পিতাশ্রী কে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন শ্রী বিষ্ণু। প্রতিবারের মত এবারও মহালায়ার প্রাক্মুহুরতে বোর্ড কমিটির সামনে দেবী দুর্গা আর তার আপত্য পরিবারের মর্ত্য ভ্রমন বাবদ খরচার বাজেট পেশ করা হয়েছিল চেয়ারম্যান গঞ্জিকা গৌরব শ্রী মহেশ্বরের অনুমোদনের জন্য। আর তখনি বোমটা ফাটালেন মুরলী মনোহর। এক পেশে হাসিটা মুখের কোনায় ঝুলিয়ে, গলায় মিষ্টি ভাবে শ্লেষ মিশিয়ে জানতে চাইলেন ‘ এই যে এতো অর্থ আর আয়োজন করে, কখনও গজ গমনে কখনও নৌকা বিহারে কখনও অশ্ব পিঠ, সম্বৎসর চেয়ারম্যান এর পরিবারকে পিতৃগৃহের নামে মর্ত্য ভ্রমণের বিলাসিতায় দেবলোক অর্থ বরাদ্দ করে চলেছে, তার উপযোগিতা মূলক কখনও কি দেবী দুর্গা বা তার সাঙ্গোপাঙ্গরা কোন ট্যুর রিপোর্ট জমা করেছে ফিরে এসে? মণ্ডপের ঘেরাটোপ থেকে বেড়িয়ে মনুষ্যলোক, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির উন্নতি/অবনতির কোন ব্যাখ্যান কি জমা দিয়েছে?’
প্রশ্নের তেজে ব্যতিব্যস্ত মহেশ্বর গঞ্জিকা নলে খান দুই বৃহৎ টান দিয়ে আঁখি রঞ্জিত করে ফরমান দিলেন ঃ
ট্যুর রিপোর্ট না পেশ করলে পরের বছর থেকে পিতৃলোক অধরাই থেকে যাবে দেবী আর তার দলবলের কাছে।
ন্যাপাটিজম থেকে যে মহাদেব মুক্ত তার প্রমান রেখে সভা তো ভঙ্গ হয়েছে তাঁর গুণগান গেয়ে। কিন্তু গৃহে ফিরে প্রবল বিড়ম্বনার সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে মীটিং থেকেই নিরুদ্দেশ হয়েছেন দেবাদিদেব। কিন্তু এতো আর মর্ত্য লোকের কর্পোরেট মিটিং নয়, রাজাধিরাজের আদেশের বিচ্যুতি হয় এমন সাধ্য প্রকাশ্যে দৈবী শক্তিরও নৈব নৈব চ!
অতএব চার ভাইবোনকেই মায়ের এই অবমাননা ঘোচাবার দায়িত্ব নিতে অঙ্গিকারবদ্ধ হতে হয়েছে।
আর সত্যি বলতে কি, গণপতি বুঝিয়েছেন , শারদকালীন এই মর্ত্য ভ্রমণ তাদের জন্য মোটেই সুখকর নয়, সত্যি কথা বলতে কি এটা একরকম অত্যাচারই বলা যায়। কেননা মাতাশ্রী তো ভক্তদের ভক্তির আতিশয্যে, পূজার পারিপাট্যে মণ্ডপে মণ্ডপে নেশায় বুঁদ হয়ে চারদিন অনায়াসে কাটিয়ে দেন। কিন্তু সমস্যা তো তার সন্তানদের। ডেকোরেশন ছাড়া যাদের আর কোন অস্তিত্বই নেই এই অকালবোধনের উৎসবে। অসুর আর মায়ের বাহন সিংহ সেই তুলনায় ভাগ্যবান, নিন্দা অথবা প্রশংসার মর্যাদায় তারা মর্যাদাসম্পন্ন । তাই বলতে গেলে এ একদিকে শাপে বর। বক্তব্যের যৌক্তিকতায় চার ভাইবোন একমত। পরামর্শে ঠিক হল, নমুনা হিসেবে কলকাতাকে রাখাটাই সবদিক থেকে সংগত। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিসেবে শ্রী গণেশ করবেন সামাজিক অনুসন্ধান, লক্ষ্মী দেখবেন বানিজ্যিক হালচাল আর কনিষ্ঠ বলে কার্ত্তিক সরস্বতী যুগলের দায়িত্ব বর্তাল সাংস্কৃতিক হাল হকিকত সন্ধান।
দৃশ্য কল্প ১
পঞ্চমীর রাতটা মণ্ডপে কাটিয়েই ভোর ভোর থাকতে পরিভ্রমণে বেড়িয়ে পড়লেন গণপতি । তা যস্মিন দেশে যদাচারেৎ! শুঁড়টাকে নিয়ে যে মুশকিল হয়নি তা নয়, তবে পরিশেষে স্যুটে টাই বাঁধার মতো করে কোটের মধ্যে চালান করে নাসাগ্রে, থুরি, শুঁড়াগ্রে জনসন কোম্পানির মাস্ক লাগিয়ে গজানন যখন বেরোলেন তখন কে ভেদ করবে তাঁকে রাজস্থানবাসি প্রবাসী না ভেবে। এত অবধি সদাই গজানন শুনে এসেছেন পূজা পূজা গন্ধ নাকি মাতাশ্রীর আগমনের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে মর্ত্যলোকের আকাশে বাতাসে। বড় রাস্তায় এসে কোটের মধ্য থেকে লম্বা এক শ্বাস নিয়ে চোখ বুজলেন সেই সুবাস আস্বাদন করতে পরমুহুরতেই দুর্গন্ধে আঁতকে উঠলেন। ইতি উতি চাইতেই নজরে এল দুর্গন্ধের উৎস। কর্পোরেশন এর আবর্জনা সংগ্রহের স্থান উপছে পড়ে রাস্তার একাংশ গ্রাস করে আছে জঞ্জাল, নোংরা। কি নেই তাতে? পচা খাদ্যাংশ,পশু বিস্ট আর তা ধুয়ে দেবার জন্য সর্বজন সমক্ষে মনুষ্য মুত্র। আহা! কি মনকাড়া ভোরের দৃশ্য !!
গজানন বড় রাস্তা ছেড়ে পল্লীতে ঢুকলেন।
বাঃ ভারী সুন্দর আবাসিক পরিবেশ। প্রসন্ন চিত্তে গজানন সপ্রশংস নয়নে মনুষ্য কৃত স্থাপত্য সৌন্দর্যে মগ্ন হলেন। বলা বাহুল্য এখানকার বাসিন্দারা শুধুমাত্র নান্দনিক বিচারে ধনী নয়, আক্ষরিক অর্থেও বটে। কিন্তু ঐ যে বলে না ‘ মর্ত্য সুখ স্বর্গবাসীদের সহ্য হয় না’ এ ক্ষেত্রে তার বিপরীত হয় কি করে? প্রথমে এক ঘূর্ণায়মান বাহন চালিকার নির্গত কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার দেখলেন ( ভাগ্যে মাস্ক
পরে আছেন নইলে পর্যটন শিকেয় তুলে অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের হাসপাতালে বন্দী হতেন) আর তার পরেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে এক আবাসন এর প্রাইভেট লেন এ ঢুকে সুরক্ষা কর্মীর কাছে যা তা ভাবে অপমানিত হলেন।
আর সেটা হজম হতে না হতেই অকাল বোধনের মত অকাল বৃষ্টি অর্থাৎ উপর মহলের অলিন্দ থেকে অঝোর ধারায় নেমে আসা ময়লায় সিক্ত হলেন। টালা থেকে টালিগঞ্জ, বালি থেকে বালীগঞ্জ পরিভ্রমণ শেষে এই অভিজ্ঞতাই গজানন অর্জন করলেন ‘মর্ত্যবাসীর সামাজিক স্বাধীনতার সংজ্ঞা বড়ই বিচিত্র। যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে পরিবেশ দুর্গন্ধ যুক্ত করা,জনসমক্ষে মূত্র বা মল পরিত্যাগ করে কলুষিত করা, রাত্রির নিস্তব্ধতাকে খান খান করে যুব জনিত আহ্লাদে আনন্দ সূচক অশ্লীল ধবনি করে শান্তিপ্রিয় পল্লীবাসীর হৃৎকম্প সৃষ্টি করা আর নিজের অপারগতার কারণ অপরের স্কন্ধে চাপিয়ে ভারমুক্ত হওয়া !
দৃশ্য কল্প ২
মা লক্ষ্মী প্যাঁচাটাকে মায়ের কাছে জমা রেখে বেরোলেন। প্রথমেই পোস্তায় এলেন। বড় নাম শুনেছেন চিরকাল, আজ চাক্ষুষ দেখার লোভ সামলাতে পারলেন না। ব্যবসা বানিজ্যের হৃদয় যে বড়বাজার আর পোস্তা তা বলাই বাহুল্য। সার সার চক্র যান দাড়িয়ে আছে নানাবিধ উপকরণ,শাক সব্জি নিয়ে এক শ্মশানের স্তব্ধতায়। কিন্তু কেন? একটু এগিয়ে যেতেই ব্যস সব জলের মতো পরিস্কার! পথ সুরক্ষা কর্মী যাদের যবন ভাষায় পুলিশ ( নাকি ফুলিশ ) বলা হয় তারই প্রতিনিধি পর্যবেক্ষণ মুলতুবি রেখে উৎকোচ গ্রহণে যথেষ্ট মুন্সিয়ানা দেখিয়ে চলেছে এবং তার দরাদরির ফলস্বরুপ এই যান স্তব্ধতা। সেই শুরু,পোস্তা থেকে সরকারি কার্যালয়, কর্পোরেট অফিস, চিকিৎসা কেন্দ্র, এজরা স্ট্রীট, লালবাজার ইত্যাদি নানাবিধ স্থান পরিদর্শন শেষে উৎকোচের তথা দুর্নীতির নতুনতর ব্যাখ্যায় দারুণ ভাবে শিক্ষিত হলেন বিষ্ণুপ্রিয়া।
উৎকোচ আধুনিক মানব সভ্যতার অর্থনৈতিক স্তম্ভ। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তা চাঁদা হিসেবে পরিগনিত হয়। ব্যবসায়ীক লেনদেনে তা পরিষেবা বলে বিবেচিত, ধর্মীয় বলয়ে তা সেবা বা ভক্তি হিসেবে তুল্য। সরকারি প্রশাসনে তা হোল নাগরিক কর্তব্য। উৎকোচ গ্রহণকারীর বিবেক নিতান্তই পরিস্কার। যুক্তি সর্বজন গ্রাহ্য ‘ আমি তো চুনোপুঁটি রাঘব বোয়ালদের সুমুখে। আরে বাবা এটা আমার আর্থ – সামাজিক দায়ব্ধতা।‘
তৃতীয় নেত্রের উন্মেশ বোধ করি একেই বলে !!
দৃশ্য কল্প ৩
বীনানন্দিত সুরধনি দেবী সরস্বতী রবীন্দ্রসরোবর পরিক্রমায় এলেন মণ্ডপ ছেড়ে। হংস বাহন সরোবর পেয়ে যারপরনাই তৃপ্ত । পাঁচপাঁচ টা দিন দেবী কে বহন ( তবুও রক্ষে ফিগার সম্বন্ধে সরস্বতি সদা সচেতন) করা কি সহজ কথা। এদিকে দেবীর বীনার টুং টাং আওয়াজে আকৃষ্ট হয়ে জড় হয়েছে এক দল ছেলেমেয়ে। তাদের মাথায় নানারকম ফেট্টি বাধা, হাতে রকমারি বাদ্য যন্ত্র। সবারই হাতে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা আর চক্ষু এই সাত সকালেই ঢুলু ঢুলু ।
‘দিদি কি ঐ আদ্যিকালের যন্ত্রটা বিক্রি করতে বেড়িয়েছেন নাকি?’
সরস্বতী নির্বাক।
‘অ্যান্টেক হলেও দাম বেশি দিতে পারব না কিন্তু।‘
‘আমাদের ব্যান্ডে যোগ দেবেন নাকি?’
সুযোগ যখন আসে এরকম ভাবেই আসে। সঙ্গীত জগত পরিভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগটা সদ্ব্যবহার করলেন বীনপানি এদের মাধ্যমে।
পরিভ্রমণ অন্তে জানলেন ব্যান্ড সঙ্গীত এখন সর্বাধুনিক ফিউসন সঙ্গীত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়। বুঝলেন এই সঙ্গীত ধারায় কর্ণ প্রিয় সুরধবনি ব্রাত্য, কর্ণ বিলাপ আর্তনাদই গণ্য। শিখলেন ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে বাদ্য যন্ত্র ছুৎ মার্গ থেকে পেয়েছে মুক্তি। শব্দ সৃষ্টিকারী যে কোন উৎসই গ্রহণীয়।
সঙ্গীত দুনিয়ার এই অসাধারন সাম্যবাদ দর্শনে আপ্লুত হলেন দেবী। সঙ্গীত কে আপারমর জনতার অধিকারের জন্য অর্গল মুক্ত করা হয়েছে তথাকথিত মুষ্টিমেয় সঙ্গীত শিক্ষার সংস্থার কবল থেকে। কার ঘাড়ে কটা মাথা যে প্রশ্ন তোলে সুর না বেসুর! বীনাটাকে সুভাষ সরোবরে বিসর্জন দিয়ে হাঁসের পিঠে চেপে দেবী ডিভিডি হস্তে উদ্বেলিত হয়ে ফিরলেন একেবারে সুসজ্জিত ডিস্ক থিক থেকে।
দৃশ্য কল্প ৪
কার্তিকের চিরকালই একটু ইয়ের দোষ আছে! একে মায়ের আদরের দুলাল তাতে মোহন গঠন আর রূপ। এরপরেও যদি তাকে বিবেকানন্দ হতে বলা হয় সেটা অন্যায় বলা হয় নাকি? তবে স্বর্গই বলুন আর কৈলাসই বলুন ইয়ে ব্যাপারটায় উৎসাহ পাওয়া খুবই দুরস্ত। ইন্দ্রের সভার কথাই ধরা যাক না। মেনকা, রম্ভা, উর্বশী দের নিয়ে যত গালগল্পই প্রচলিত থাকুক না কেন আসলে নান্দনিক নৃত্যে আক্ষরিক অর্থে বসনে ঢাকা অঙ্গ দেখে আর যাই হোক কার্তিকের ইয়ে ত হয়ই না বরং দেবরাজ এর জন্য অনুতাপই হয়। মর্ত্য লোকের মণ্ডপে বাধা থাকতেন বলে অঞ্জলি দিতে আসা লাল পেড়ে শাড়ি পরিহিত স্নিগ্ধ রমণী সৌন্দর্য অথবা লাস্যময়ী তরুণী দর্শন ছাড়া তার ভাগ্যে এতবিধিকাল কিছুই আর জোটে নি। অতএব মুক্তি পেয়েই কার্তিক চললেন সভ্যতার সাংস্কৃতিক অন্বেষণে। প্রথমে আইনক্স এর মাল্টিপ্লেক্স, তদবধি পার্কস্ট্রীট, ফ্রিস্কুল স্ট্রীট,পাঁচ তারা,সাত তারা হোটেল এবং পরিশেষে সমুদ্র তট সন্দর্শনে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা আর তৃপ্তি অর্জন করলেন।
‘ইন্দ্র কে একবার ক্যাবারে দেখাতে হয় মর্ত্যে এনে, ব্যাটা বুঝতে পারত পানসে সরবত আর স্কচ হুইস্কিতে কি তফাৎ। অমৃতর নামে কি যাচ্ছেতাই পানীয় পরিবেশিত হয় তা মর্মে মর্মে অনুভব করতেন দেবরাজ। আর ঐ অপ্সরাদের নেত্য? ছ্যা ছ্যা, প্রায় বিবসনা মর্ত্য সারসীদের সামনে তা যে কত ফিকে আর জোলো তা মালুম পড়ত স্বর্গবাসীদের!’
দেখতে দেখতে কার্তিকের সেই না পাওয়া সৌভাগ্যের স্বপ্নে বড়ই কাতর হয়ে পড়লেন । এহেন স্বর্গপুরী থুড়ি মর্ত্য পুরী ছেড়ে দশমীর লগ্নে বিদায় যে কি মাত্রায় মনোবিদারক তা সর্বপ্রথম হাড়ে হাড়ে অনুভব করলেন শ্রীমান!!
উপসংহার
কৈলাসে আপতকালীন জরুরি সভার তলব করা হয়েছে। সকল দেবতাদের উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছেন মহেশ্বর যোগদানের জন্য। কারন? এই প্রথম দেবলোকে অভাবনীয় ও অশ্রুতপূর্ব ঘটনা ঘটে চলেছে। স্বর্গ্য মর্ত্য বিভাজন সীমায় যমরাজের প্রশাসন
দুর্নীতি তে পাকাপোক্ত হয়ে উৎকোচ গ্রহন করে দুরাত্মাদের স্বর্গে প্রবেশ অধিকার দিচ্ছেন আর মহাত্মাদের পাঠাচ্ছেন নরকে!
নন্দন কাননের নান্দনিক শ্বাশত সনাতন শান্তি বিঘ্নিত বিচিত্র শব্দ আর বাদ্যের অনৈক্য তানে। দেবরাজ ইন্দ্রের নৃত্য সভায় প্রায় বিবসনা অপ্সরাদের প্রমত্ত নৃত্যে দেবগন আন্দোলিত!
স্কচ হুইস্কির এমনি মাধুর্য দেবতারা নাকি অমৃতের সাথে বিনিময় করে চলেছেন অসুরদের মাধ্যমে। এমনকি মহাদেবের সাক্ষাৎ সাঙ্গাত নন্দী ভিরিঙ্গির পর্যন্ত গঞ্জিকা সেবনে অরুচি দেখা দিয়েছে। ড্রাগ এর শুকনো নেশায় তাঁরাও দিবারাত্রই ধরাশায়ী।
‘তারুন্যের মুক্তি’ এই ব্যানারে নবীন দেবদেবী গন দল ঘোষণা করে ব্রম্ভা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর এর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এ কথা তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে দেবলোকে প্রচলিত নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থ সামাজিক ব্যাবস্থা আবার পুনঃ বহাল করতে দেবী দুর্গার পিতৃলোক ভ্রমণের ট্যুর রিপোর্ট জমা করার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মণ্ডপ ছেড়ে পরিদর্শনের নির্দেশও তুলে নেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান এর পরিবারের জন্য।
পরিশিষ্ট
এই মাত্র স্বর্গ সংবাদে প্রকাশ বৈকুণ্ঠ ছেড়ে শ্রী বিষ্ণু সুদর্শন চক্র হাতে ধাওয়া করেছেন ত্রিলোকে নারদের সন্ধানে!!